চোখে চুলকানি ও লালভাব? জেনে নিন কার্যকর ১০টি ঘরোয়া চিকিৎসা
চোখে চুলকানি ও লালভাব হচ্ছে অস্বস্তিকর এক সমস্যা। এই আর্টিকেলে জানুন চোখের চুলকানি ও লালভাব দূর করার জন্য ১০টি কার্যকর ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া চিকিৎসা, যেগুলি আপনি সহজেই বাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন।
📝 ভূমিকা:
চোখ আমাদের শরীরের অন্যতম সংবেদনশীল অঙ্গ। কিন্তু নানা কারণে চোখে চুলকানি ও লালভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা শুধু অস্বস্তি নয় বরং দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটায়। ধুলাবালি, অ্যালার্জি, পরিশ্রান্তি, স্ক্রিনের অতিরিক্ত ব্যবহার বা সংক্রমণের কারণে চোখে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদিও চোখের সমস্যা হলে চোখের ডাক্তার দেখানো জরুরি, তবে কিছু হালকা ও সাধারণ ক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রতিকার খুবই কার্যকর হতে পারে।
এই লেখায় আমরা জানবো কীভাবে চোখে চুলকানি ও লালভাব হলে বাড়িতে বসেই ১০টি প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সহজে আরাম পাওয়া যায়। প্রতিটি প্রতিকার সহজলভ্য উপাদানে তৈরি এবং প্রয়োগ করাও খুব সহজ। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কার্যকর ঘরোয়া সমাধানগুলো।
আমরা আজকে চোখে চুলকানি ও লালভাবের সম্পর্কে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো –
১. চোখে চুলকানি ও লালভাবের সাধারণ কারণ সমূহ।
২. কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
৩. চোখে চুলকানি ও লালভাবের ঘরোয়া প্রতিকার (মূল অংশ)
৪. চোখে চুলকানি ও লালভাবের প্রতিরোধের উপায় (Preventive Tips)।
বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
১. চোখে চুলকানি ও লালভাবের সাধারণ কারণ সমূহ:
✅ চোখে চুলকানি ও লালভাবের সাধারণ কারণ:
চোখে চুলকানি ও লালভাব দেখা দেওয়া একেবারে অচেনা সমস্যা নয়। অনেকেই এই সমস্যায় পড়েন, এবং এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। নিচে কয়েকটি সাধারণ কারণ তুলে ধরা হলো—
🌀 (ক) অ্যালার্জি (Allergy):
ধুলাবালি, ফুলের রেণু, পশুর লোম বা কসমেটিকসের প্রতি অ্যালার্জি হলে চোখে চুলকানি ও লালভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় মৌসুমি অ্যালার্জিও দায়ী হয়।
🧹 (খ) ধুলাবালি ও দূষণ:
রাস্তা-ঘাটে ধুলাবালি ও পরিবেশ দূষণ চোখে গিয়ে জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও লালভাব তৈরি করে। যারা বাইরের কাজে বেশি বের হন, তাদের এই সমস্যা বেশি হয়।
🦠 (গ) সংক্রমণ (Infection):
কনজাংকটিভাইটিস বা চোখের অন্যান্য ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে চোখ লাল হয়ে যায় এবং চুলকানিও হয়। এই ধরনের ইনফেকশন ছোঁয়াচেও হতে পারে।
💻 (ঘ) দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন দেখা (Screen Strain):
অতিরিক্ত সময় মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভি স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে চোখ শুকিয়ে যায়, ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং চুলকানি ও লালভাব দেখা যায়।
🛌 (ঙ) ঘুমের অভাব:
যথেষ্ট ঘুম না হলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং লাল হয়ে যায়। ঘুমের ঘাটতির কারণে চোখে শুষ্কতা ও চুলকানিও হতে পারে।
👁️ (চ) কনট্যাক্ট লেন্সের ভুল ব্যবহার:
দীর্ঘ সময় ধরে কনট্যাক্ট লেন্স পরা বা ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে চোখে সংক্রমণ ও চুলকানি হতে পারে।
💧 (ছ) চোখে বিদেশি বস্তু ঢোকা:
কোনো ছোট ধূলিকণা, পোকামাকড় বা রাসায়নিক পদার্থ চোখে ঢুকলে তাৎক্ষণিকভাবে চুলকানি, লালভাব এবং অস্বস্তি শুরু হয়।
২. কখন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
✅ কখন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
চোখে চুলকানি ও লালভাব অনেক সময় হালকা সমস্যা হলেও কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার প্রয়োগের পরও যদি উপসর্গ না কমে বরং আরও খারাপ হয়, তাহলে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিচে কিছু পরিস্থিতি উল্লেখ করা হলো যেখানে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত:
⚠️ (ক) দীর্ঘদিন ধরে উপসর্গ থাকলে:
চোখে চুলকানি বা লালভাব ২-৩ দিনের বেশি সময় ধরে থাকলে এবং কোনও উন্নতি না দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
⚠️ (খ) চোখে ব্যথা বা চাপ অনুভব হলে:
চুলকানির পাশাপাশি যদি চোখে তীব্র ব্যথা, চাপ বা জ্বালাভাব থাকে, তাহলে তা সাধারণ সমস্যা নয়।
⚠️ (গ) চোখে ঝাপসা দেখা বা দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে:
যদি চোখ লাল বা চুলকানি হওয়ার সাথে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়, তবে এটি চোখের ভেতরের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
⚠️ (ঘ) চোখ ফুলে গেলে বা পুঁজ পড়লে:
চোখের আশেপাশে ফুলে যাওয়া বা পুঁজ পড়া ইনফেকশনের লক্ষণ। এই অবস্থায় নিজে কিছু না করে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।
⚠️ (ঙ) আলোর প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা (Photophobia):
চোখে অস্বাভাবিকভাবে আলো সহ্য না হলে বা চোখ হালকা আলোতেও ব্যথা করে, সেটাও চিন্তার কারণ।
⚠️ (চ) শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিলে:
ছোট শিশু বা বয়স্কদের চোখে চুলকানি বা লালভাব হলে তা হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
📝 মূল কথা:
চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ, তাই এতে সামান্য অবহেলাও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করলেও যদি অবস্থা না সারে বা জটিল উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. চোখে চুলকানি ও লালভাবের ঘরোয়া প্রতিকার (মূল অংশ)
✅ চোখে চুলকানি ও লালভাবের ১০টি ঘরোয়া প্রতিকার (মূল অংশ):
চোখে চুলকানি ও লালভাব হলে প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা উপকারে আসতে পারে। এই প্রতিকারগুলো সহজলভ্য উপাদান দিয়ে তৈরি, নিরাপদ এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। নিচে উল্লেখ করা হলো কার্যকর ১০টি ঘরোয়া প্রতিকার:
🧊 (ক) ঠান্ডা পানির সেঁক (Cold Compress):
একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের ওপর ৫–১০ মিনিট রাখুন। এটি চোখের ফোলা ভাব, জ্বালাপোড়া ও লালভাব কমাতে সাহায্য করে।
🌹 (খ) গোলাপজল (Rose Water):
গোলাপজল একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার। তুলো ভিজিয়ে চোখের ওপর কিছুক্ষণ রাখলে তা ঠান্ডা অনুভব দেয় এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
🥒 (গ) শসার টুকরো (Cucumber Slices):
ঠান্ডা শসার টুকরো চোখের ওপর রাখলে চোখ ঠান্ডা হয়, ক্লান্তি দূর হয় এবং লালভাব ও চুলকানি হ্রাস পায়।
🍵 (ঘ) টি ব্যাগ সেঁক (Used Tea Bag Compress):
ব্যবহৃত গ্রিন টি বা ক্যামোমাইল টি ব্যাগ ঠান্ডা করে চোখের ওপর রাখলে প্রদাহ ও জ্বালা প্রশমিত হয়।
🌿 (ঙ) অ্যালোভেরা জেল (Aloe Vera Gel):
অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান চোখের চারপাশে লাগালে শীতলতা দেয় এবং অ্যালার্জির কারণে হওয়া চুলকানি কমায়।
🧂 (চ) লবণ পানি দিয়ে চোখ ধোওয়া (Salt Water Rinse):
হালকা লবণ মিশ্রিত ফুটানো ও ঠান্ডা করা পানি দিয়ে চোখ ধোলে জীবাণু দূর হয় এবং সংক্রমণজনিত জ্বালা কমে।
🍯 (ছ) মধু ও পানি মিশ্রণ:
পরিষ্কার পানি ও খাঁটি মধু মিশিয়ে তুলার সাহায্যে চোখে লাগালে চোখের সংক্রমণ ও অস্বস্তি কমতে সাহায্য করে (চোখের ভেতরে না দিয়ে বাইরের অংশে ব্যবহার করুন)।
😴 (জ) পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম:
চোখের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরতি নিয়ে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম দিলে চোখ নিজে নিজেই ঠিক হতে পারে।
🥛 (ঝ) ঠান্ডা দুধের তুলো:
ঠান্ডা দুধে ভেজানো তুলা চোখের ওপর রাখলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায় এবং চোখ ঠান্ডা থাকে।
🕶️ (ঞ) ধুলাবালি ও অ্যালার্জেন থেকে রক্ষা:
বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন, ঘর পরিষ্কার রাখুন, এবং অ্যালার্জির সম্ভাব্য কারণ এড়িয়ে চলুন।
📝 নোট:
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো হালকা সমস্যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। উপসর্গ বাড়লে বা স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. চোখে চুলকানি ও লালভাবের প্রতিরোধের উপায় (Preventive Tips):
✅ চোখে চুলকানি ও লালভাবের প্রতিরোধের উপায় (Preventive Tips):
চোখের চুলকানি ও লালভাবের সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে শুধুমাত্র চিকিৎসা নয়, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস বদলানো জরুরি। নিচের প্রতিরোধমূলক পরামর্শগুলো মেনে চললে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব—
🧴 (ক) চোখ পরিষ্কার রাখুন:
প্রতিদিন সকালে ও বাইরে থেকে ফিরে চোখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ধুলাবালি, জীবাণু ও অ্যালার্জেন দূর হয়।
🧼 (খ) হাত ধুয়ে চোখে হাত দিন:
নোংরা হাত দিয়ে চোখে হাত দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই চোখে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন।
😴 (গ) পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন:
প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে চোখ ক্লান্ত হয় ও লাল হয়ে যায়। চোখের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
💻 (ঘ) স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করুন (২০-২০-২০ নিয়ম):
প্রতিনিয়ত স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে চোখে চাপ পড়ে। প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের দিকে তাকান — এটি চোখকে বিশ্রাম দেয়।
🕶️ (ঙ) সানগ্লাস ব্যবহার করুন:
রোদ, ধুলাবালি ও পলিউশন থেকে চোখ বাঁচাতে বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরা অভ্যাস করুন।
🧹 (চ) বিছানা ও পর্দা পরিষ্কার রাখুন:
বিছানা, বালিশ, পর্দা ইত্যাদি ধুলাবালি জমার জায়গা। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমে।
👁️ (ছ) কনট্যাক্ট লেন্স সতর্কভাবে ব্যবহার করুন:
কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারে সঠিক নিয়ম মেনে চলুন এবং পরিষ্কার করে পরুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই খুলে ফেলুন।
🧴 (জ) চোখে প্রসাধনী (eye makeup) ব্যবহার করলে সতর্ক থাকুন:
মেয়েরা চোখে কাজল বা আইলাইনার ব্যবহারের আগে পণ্যের মান যাচাই করুন এবং রাতে ঘুমানোর আগে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
🚫 (ঝ) অপরিষ্কার জায়গা বা ধুলাবালিতে বেশি সময় না কাটানো:
যদি অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা থাকে, তাহলে ধুলাবালি ও পলিউটেড পরিবেশে বেশি সময় না কাটানোই ভালো।
💧 (ঞ) হাইড্রেটেড থাকুন:
শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে চোখ শুষ্ক হয় না। প্রতিদিন ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন।
📝 মোট কথা:
চোখে চুলকানি বা লালভাব একবার হলেও অনেক সময় তা পুনরাবৃত্ত হয়। তাই নিয়মিত যত্ন ও সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
✅ উপসংহার:
চোখ আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল অঙ্গ। দৈনন্দিন জীবনের ধুলাবালি, স্ক্রিন টাইম, অ্যালার্জি কিংবা ঘুমের অভাব—এইসব কারণেই চোখে চুলকানি ও লালভাবের মতো বিরক্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় এই উপসর্গগুলো সাধারণ হলেও, সঠিক সময়ে যত্ন না নিলে তা বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
এই ব্লগে উল্লেখিত ১০টি ঘরোয়া প্রতিকার সহজ, নিরাপদ এবং সহজলভ্য উপায়ে চোখের আরাম ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। তবে, উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে বা চোখে ব্যথা, ঝাপসা দেখা, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিলে দ্রুত একজন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
চোখের যত্নে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সঠিক অভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ—এই কয়েকটি বিষয় যদি নিয়ম করে মেনে চলা যায়, তাহলে চোখের সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব। মনে রাখো, চোখ সুস্থ থাকলে জীবন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
❓ চোখে চুলকানি ও লালভাব – ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. চোখে চুলকানি ও লালভাব কেন হয়?
বিভিন্ন কারণে যেমন ধুলাবালি, অ্যালার্জি, স্ক্রিন টাইম, ঘুমের অভাব, বা সংক্রমণের ফলে চোখে চুলকানি ও লালভাব দেখা দিতে পারে।
২. চোখে চুলকানি হলে কি এটা ইনফেকশন হতে পারে?
হ্যাঁ, ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল কনজাংকটিভাইটিসে এমন উপসর্গ হতে পারে।
৩. চোখ লাল হলে কী করবো?
প্রাথমিকভাবে ঠান্ডা পানির সেঁক দিন, চোখে ঘষবেন না। সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. গোলাপজল কি চোখে ব্যবহার করা নিরাপদ?
বিশুদ্ধ ও স্ট্যান্ডার্ড গোলাপজল হলে চোখের চারপাশে ব্যবহার নিরাপদ। চোখের ভেতরে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
৫. চোখে চুলকানি হলে ঘষা উচিত কি?
না, চোখ ঘষলে চুলকানি আরও বেড়ে যেতে পারে এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে।
৬. দীর্ঘ সময় মোবাইল দেখলে চোখ লাল হয় কেন?
স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক কমে, চোখ শুষ্ক হয় এবং ক্লান্তিতে লাল হয়।
৭. ঠান্ডা দুধ কি চোখের লালভাব কমাতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ, ঠান্ডা দুধে তুলা ভিজিয়ে চোখের ওপর রাখলে ঠান্ডা লাগে ও আরাম পাওয়া যায়।
৮. চোখে শসা রাখলে উপকার হয়?
হ্যাঁ, ঠান্ডা শসা চুলকানি ও লালভাব কমাতে সহায়তা করে।
৯. চোখে অ্যালার্জি হলে কী খাওয়া উচিত নয়?
ধুলাবালি ও অ্যালার্জেন-যুক্ত খাবার যেমন চিংড়ি বা ডাস্টি পরিবেশ এড়িয়ে চলা উচিত।
১০. চোখের লালভাব কতদিনে ভালো হয়?
সাধারণত ২-৩ দিনের মধ্যে হালকা সমস্যা ভালো হয়, তবে ইনফেকশন হলে চিকিৎসা প্রয়োজন।
১১. চোখে পানি পড়া কি চুলকানির লক্ষণ?
হ্যাঁ, চোখ চুলকালে অনেক সময় অতিরিক্ত পানি পড়ে।
১২. চোখে ওষুধ ছাড়াই আরাম পাওয়া যাবে?
হালকা সমস্যা হলে ঘরোয়া উপায়ে আরাম পাওয়া যায়।
১৩. চোখে চুলকানি কি ঘুমের অভাবেও হয়?
হ্যাঁ, ঘুমের অভাবে চোখ ক্লান্ত হয়ে চুলকাতে পারে।
১৪. চোখে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়?
চোখের চারপাশে পরিষ্কার অ্যালোভেরা লাগানো নিরাপদ, তবে চোখের ভেতরে নয়।
১৫. চোখে ব্যবহৃত টি ব্যাগ উপকারী?
হ্যাঁ, ঠান্ডা ক্যামোমাইল বা গ্রিন টি ব্যাগ চুলকানি ও লালভাব কমাতে সহায়ক।
১৬. কোন খাবার চোখের জন্য ভালো?
ভিটামিন A, C, E এবং ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যেমন গাজর, মাছ, বাদাম।
১৭. চোখে পানি দিলে চুলকানি কমে?
সাধারণভাবে ঠান্ডা পানি চোখে দিলে আরাম পাওয়া যায়।
১৮. ঘরোয়া প্রতিকারে যদি কাজ না হয়?
তাহলে দেরি না করে চক্ষু চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
১৯. কোন সময় চোখে ওষুধ না দিয়ে অপেক্ষা করা উচিত?
যদি উপসর্গ হালকা হয়, তবে ঘরোয়া প্রতিকার কয়েক দিন চেষ্টা করা যায়।
২০. চোখে কাজল ব্যবহারে সমস্যা হয়?
নিম্নমানের বা শেয়ার করা কাজল সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
২১. চোখে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারে চুলকানি হলে কী করবো?
লেন্স খুলে ফেলুন, চোখ ধুয়ে বিশ্রাম দিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
২২. চোখে মেকআপ লাগালে সমস্যা বাড়ে?
হ্যাঁ, অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে চোখে মেকআপ ব্যবহার এড়ানো উচিত।
২৩. চোখে চুলকানি হলে স্কুল বা অফিসে যাওয়া উচিত?
সংক্রমণ থাকলে এড়ানো উচিত, না হলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
২৪. চোখে চুলকানি কি ছোঁয়াচে হতে পারে?
ভাইরাল কনজাংকটিভাইটিস হলে হ্যাঁ, ছোঁয়াচে হতে পারে।
২৫. চুলকানির জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আছে?
হ্যাঁ, তবে একজন যোগ্য হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরামর্শে নেওয়া উচিত।
২৬. চোখের লালভাব কি চোখের দৃষ্টিশক্তি কমাতে পারে?
হালকা সমস্যা হলে না, তবে দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশন হলে ক্ষতি হতে পারে।
২৭. চোখে সাবান পড়ে গেলে কি করতে হবে?
পর্যাপ্ত ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, সমস্যা থাকলে চিকিৎসক দেখাতে হবে।
২৮. শিশুর চোখে চুলকানি হলে কী করবো?
নিজে কিছু না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
২৯. চোখে সিজনাল অ্যালার্জি হলে কী করবো?
সেই সময় বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলা, মাস্ক পরা এবং চোখ পরিষ্কার রাখা জরুরি।
৩০. চোখের যত্নে দৈনিক কী কী করা উচিত?
পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, চোখে হাত না দেওয়া, এবং সানগ্লাস পরা।