* রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকারের সহজ উপায়(Easy ways to cause the cause and remedy to increase sugar levels in the blood).
* রক্তে সুগার বেড়ে যাওয়ার কারণ:-
১. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: বেশি কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যায় ।
2. শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা: নিয়মিত ব্যায়াম না করলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে সুগার বেড়ে যায়।
3. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা: বেশি মানসিক চাপ থাকলে কর্টিসল নামক একটি হরমোন বেড়ে গিয়ে রক্তের সুগার বেড়ে যায়।
4. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: ঘুম ঠিক ঠাক না হলে বা কম হলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যায় এবং যার ফলে রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যায়। প্রতিদিন একটি স্বাভাবিক মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।
5. জেনেটিক কারণ: বংশগত কারণেও রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যায়। বংশপরম্পরায় যদি অধিকাংশ ডায়াবেটিক পেশেন্ট থেকে থাকে তাহলে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অতএব সেই বঙশের প্রতিটি মানুষকে জীবন যাত্রার ধরন পরিবর্তন করতে হবে এবং খুব সাবধানে থাকতে হবে।
6. জল কম খাওয়া: শরীরে জলের অভাব হলে ব্লাড সুগার ঘন হয়ে গিয়ে বেড়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া উচিত।
7. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু স্টেরয়েড বা অন্যান্য ওষুধে সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে।
8. হরমোনাল ইমব্যালেন্স: পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এবং থাইরয়েড সমস্যা থাকলে সুগার বেড়ে যেতে পারে।
সুগার নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়:-
সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন:
চিনি ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট কম খান এবং ফাইবারযুক্ত খাবার (যেমন – সবজি, শাক, ডাল, বাদাম) বেশি খান।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন (যেমন – ডিম, মাছ, চিকেন, বাদাম) পরিমাণ মতো খান।
পর্যাপ্ত জল পান করুন (২ থেকে ৩ লিটার প্রতিদিন)।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটুন বা যোগ ব্যায়াম করুন।
ওয়েট ট্রেনিং ও কার্ডিও ব্যায়াম একসঙ্গে করলে সুগার নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ হয়।
মানসিক চাপ কমানো:
মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করুন। এবং প্রাণায়াম করুন।
নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস রাখুন । (৭-৮ ঘণ্টা) ঘুম নিশ্চিত করুন।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য শখের কাজে ব্যস্ত থাকুন। প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টা আনন্দে কাটান ।
প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া প্রতিকার:
মেথি ভেজানো জল সকালে খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে।
দারুচিনি চা খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আমলকি ও করলা রস ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
প্রতিদিন দুই থেকে তিন টি কচি আম পাতা খেলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ভিনেগার (অ্যাপল সাইডার ভিনেগার) খাওয়ার আগে নিলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করুন:
ফাস্টিং এবং পোস্টপ্রান্ডিয়াল ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
শেষ কথা:
রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপায়ে সুগার কমানোর চেষ্টা করুন, তবে বেশি বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
* আপনি যদি আরও বিস্তারিত তথ্য চান বা বিশেষ কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে জানাতে পারেন!