পেটের পাকস্থলীর আস্তরণে যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত :-
পাকস্থলীর আস্তরণে যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত বাকস্থলীর ক্ষতকে আমরা গ্যাস্ট্রিকালচার বলে থাকি গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় এবং প্রতিকারের সহজ উপায় বা ঘরোয়া উপায়কি :
পেটের আলসারের অনেক কারণ রয়েছে:
* খালি পেটে দীর্ঘ সময় ধরে খাবার ছাড়া থাকলে পাকস্থলীর আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে আলসার হতে পারে।
* অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অনিয়মিত জীবন যাপন:
ট্রেস ও অনিয়মিত খাবারের কারণে এইচ সিএল এসিডের নিঃসরণ বেড়ে যায় যার জন্য পাকস্থলীতে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে . এটাকে গ্যাস্টিক আলসার বলে.
অতিরিক্ত লবণ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যার ফলে গ্যাস্ট্রিক আলসার হতে পারে। এভাবেই পাকস্থলীর আলসার তৈরি হয়।
গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার মূলত পাকস্থলীর ভেতরের আস্তরণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে হয় এটি সাধারনত হাই পাইলরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদনের কারণে হয় ।
কিছু সহজ নিয়ম অনুসরণ করলে এটি দ্রুত ঠিক করা যেতে পারে।
গ্যাস্টিক আলসার ভালো করার সহজ উপায়:
১। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন:-
আলসার নিরাময়ে উপকারী খাবার:
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দই বা টক দই,
কলা পেঁপে কোর্স ব্রাউন রাইস মধু বিশেষ করে খালি পেটে এক চামচ খাওয়া ভালো
আদা রসুন এটি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন আছে সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে বাঁধাকপি ও ব্রকলি ।
নারকেলের জল –
নারকেলের জল Stomac এর এসিড নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে
এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত ঝাল মশলা যুক্ত খাবারঃ-
চা কফি সফট ড্রিঙ্কস ও অ্যালকোহল খাবেন না
ভাজাপোড়া ফাস্টফুড টমেটো লেবু ভিনিগার এসব জিনিস এসিড উৎপাদন বাড়ায় ।
২। জীবনযাত্রার অনেক পরিবর্তন আনুনঃ-
ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন ।
নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করুন, খালি পেটে থাকলে এসিড বেড়ে যায় রাতে খুব বেশি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাবেন না অন্তত দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করুন ।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুণ মানসিক এড়িয়ে চলুন কারণ মানসিক চাপ অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায় ।
প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়ঃ-
এলোভেরা জুস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ এলোভেরা জুস পান করুন ।
বাঁধাকপি রস এটি আলসারের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে ।