“টিউমার কী? কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারের সহজ উপায় জানুন”
টিউমার কী, কেন হয়, এর প্রধান লক্ষণ কী কী এবং ঘরোয়া বা প্রাথমিক প্রতিকার কী হতে পারে—সব জানুন একসাথে এই সহজ ও তথ্যবহুল লেখায়। সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ভূমিকা:
বর্তমান সময়ে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা ও জটিল রোগের মধ্যে “টিউমার” একটি পরিচিত ও ভীতিকর শব্দ হয়ে উঠেছে। অনেকে টিউমার শব্দ শুনলেই মনে করেন এটি ক্যান্সার, যদিও বাস্তবে সব টিউমার ক্যান্সার নয়। টিউমার একটি সাধারণ মেডিকেল টার্ম, যার অর্থ হলো শরীরের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একত্রিত হয়ে একটি গাঁঠ বা মাংসপিণ্ড গঠন করা। এই গাঁঠ benign (সাধারণ নিরীহ) অথবা malignant (ক্যান্সারযুক্ত) হতে পারে।
মানুষের শরীরে কোষ প্রতিনিয়ত বিভাজিত হয় এবং পুরনো কোষের জায়গায় নতুন কোষ তৈরি হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে কোষ বিভাজনের এই প্রক্রিয়ায় গোলযোগ দেখা দেয়। তখন অতিরিক্ত কোষ তৈরি হয়ে জমে থাকা শুরু করে এবং একসময় তা টিউমারের রূপ নেয়। যদিও সব টিউমার স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করে না, তবে কিছু টিউমার ধীরে ধীরে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, বিশেষত যখন তা ক্যান্সারে রূপ নেয় বা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে চাপ সৃষ্টি করে।
টিউমার শরীরের যে কোনও স্থানে হতে পারে—মস্তিষ্ক, ফুসফুস, স্তন, জরায়ু, ত্বক বা হাড়সহ প্রায় সব অঙ্গেই। আবার টিউমারের প্রকারভেদ, আকার এবং অবস্থান অনুযায়ী লক্ষণও ভিন্ন হতে পারে। কখনও টিউমার সম্পূর্ণ নীরব থাকে এবং কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না, আবার কখনও এটি ব্যথা, ফোলাভাব, অস্বস্তি কিংবা শরীরের কার্যক্ষমতা হ্রাসের মতো উপসর্গ তৈরি করে। অনেক সময় টিউমার এত ধীরে বাড়ে যে রোগী টেরই পান না, এবং যখন টের পান তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।
এই কারণে টিউমার সম্পর্কে আগে থেকেই সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই টিউমার এবং ক্যান্সার নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকেন। তারা জানেন না কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত বা কোন লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। আবার অনেকে ঘরোয়া প্রতিকার বা ভেষজ চিকিৎসায় নির্ভর করেন, যা কখনও কখনও উপকার করলেও, ভুল চিকিৎসা বা বিলম্বিত চিকিৎসা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
টিউমার হওয়ার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে—জেনেটিক সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, দীর্ঘদিনের ইনফেকশন, শরীরে বিষাক্ত পদার্থের জমা, তামাকজাত দ্রব্য বা অ্যালকোহল সেবন, তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, এমনকি জীবনযাত্রার অনিয়মও টিউমার বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আবার কিছু টিউমার জন্মগতও হয়ে থাকে।
তবে ভয়ের কিছু নেই। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এখন অনেক টিউমার শুরুতেই চিহ্নিত করে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার মাধ্যমে টিউমার প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকা যায়।
এই ব্লগে আমরা টিউমার সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে জানবো—
১. টিউমার কী ও কত প্রকার?
২. টিউমার হওয়ার পেছনে কোন কারণগুলো দায়ী?
৩. কোন লক্ষণগুলোর দিকে নজর দেওয়া জরুরি?
৪. প্রাথমিক স্তরে টিউমার চিহ্নিত করার উপায় কী?
৫. প্রতিকারের কোন কোন আধুনিক ও ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে?
আমাদের লক্ষ্য হলো টিউমার নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে কেউ গুজব বা অকারণে আতঙ্কিত না হন এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।
আপনি যদি এই সমস্যা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন, অথবা আপনার পরিচিত কেউ টিউমারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন—তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। চলুন, একসাথে জানি টিউমার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য, যা আপনার স্বাস্থ্য সচেতনতার পথে সহায়ক হবে।
১. টিউমার কী ও কত প্রকার?
টিউমার হলো শরীরের কোষগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট একটি গাঁঠ বা পিণ্ড। সাধারণত শরীরের কোষগুলো নিয়মিত বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষ তৈরি করে এবং পুরনো কোষ মরে যায়। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়ায় গোলযোগ ঘটে, তখন কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে থাকে এবং সেগুলো জমে একটি টিউমার গঠন করে।
সব টিউমার একরকম নয়। কিছু টিউমার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং ততটা ক্ষতিকর নয়, আবার কিছু টিউমার দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে ও আশেপাশের টিস্যু বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আক্রমণ করে। চিকিৎসা ও ঝুঁকির দিক থেকে টিউমারকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
(ক) বেনাইন টিউমার (Benign Tumor):
বেনাইন টিউমার হলো নিরীহ ও অ-ঘাতক টিউমার। এটি শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং আশেপাশের টিস্যু বা রক্তনালীতে ছড়িয়ে পড়ে না। সাধারণত বেনাইন টিউমার খুব ধীরে বাড়ে এবং অপারেশনের মাধ্যমে সহজেই সরানো যায়। যদিও এটি ক্যান্সার নয়, তবে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বা বেশি বড় হয়ে যায়, তখন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
উদাহরণ: ফাইব্রয়েড (Fibroid), লিপোমা (Lipoma), অ্যাডেনোমা (Adenoma) ইত্যাদি।
(খ) ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (Malignant Tumor):
ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই হলো প্রকৃত ক্যান্সার। এই ধরনের টিউমার আশেপাশের টিস্যুতে আক্রমণ করে এবং রক্ত বা লসিকা (lymph) বাহকের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যাকে মেটাস্টাসিস (Metastasis) বলা হয়। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং রোগীর জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি করে। চিকিৎসার জন্য সাধারণত কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি এবং সার্জারি প্রয়োজন হয়।
উদাহরণ: ব্রেস্ট ক্যান্সার, লাং ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার ইত্যাদি।
(গ) প্রিক্যানসারাস টিউমার (Pre-cancerous Tumor):
এই ধরনের টিউমার ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে, তবে এখনো ম্যালিগন্যান্ট নয়। এই অবস্থাকে আগাম সতর্কতার পর্যায় বলা যায়। যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে পরিণত হতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।
উদাহরণ: কলোরেক্টাল পলিপ, সার্ভিক্যাল ডিসপ্লেসিয়া ইত্যাদি।
অন্যান্য শ্রেণিবিভাগ (Based on Tissue or Location)
টিউমারকে আরও কিছু নির্দিষ্ট ভিত্তিতে ভাগ করা যায়, যেমন—
কারসিনোমা (Carcinoma): ত্বক বা অঙ্গের বাইরের স্তর থেকে উৎপন্ন টিউমার (সর্বাধিক প্রচলিত ক্যান্সার টাইপ)
সারকোমা (Sarcoma): হাড়, পেশি বা সংযোগকারী টিস্যুতে গঠিত টিউমার
লিউকেমিয়া (Leukemia): রক্ত ও অস্থিমজ্জায় সৃষ্ট ক্যান্সার
লিম্ফোমা ও মাইলোমা: লসিকা গ্রন্থি বা ইমিউন সিস্টেমে গঠিত টিউমার
২. টিউমার হওয়ার পেছনে কোন কারণগুলো দায়ী?
টিউমার গঠনের পিছনে বিভিন্ন জৈবিক, পরিবেশগত ও জীবনযাপন সংক্রান্ত কারণ দায়ী। আমাদের শরীরের কোষগুলো নিয়মিতভাবে বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করে এবং পুরনো কোষ মরে যায়। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়ায় গোলযোগ দেখা দেয়—অর্থাৎ কোষ অস্বাভাবিকভাবে বিভাজিত হয়ে অতিরিক্ত কোষ তৈরি করতে থাকে—তখনই টিউমার তৈরি হয়। এই অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির পেছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ কাজ করে, যেমন:
(ক) জেনেটিক বা বংশগত কারণ:
বংশগতভাবে কিছু মানুষ টিউমার বা ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন। পরিবারের কারও যদি আগে টিউমার বা ক্যান্সার হয়ে থাকে, তাহলে তাদের জেনেটিক মিউটেশন পরবর্তী প্রজন্মের কোষেও প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন: BRCA1 এবং BRCA2 জিন মিউটেশন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
(খ) বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ (Carcinogens):
ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড মাংস, কৃত্রিম রঙ বা সংরক্ষণকারী পদার্থযুক্ত খাবার প্রভৃতি বিষাক্ত উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে এবং কোষের DNA-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে টিউমার তৈরি করতে সাহায্য করে।
(গ) তেজস্ক্রিয়তা ও UV রশ্মি:
সূর্যের অতিবেগুনি (UV) রশ্মি কিংবা এক্স-রে, গামা রশ্মির মতো তেজস্ক্রিয়তা কোষের জেনেটিক উপাদানে ক্ষতি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে টিউমার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ত্বক ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ UV রশ্মি।
(ঘ) ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ:
কিছু ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণের মাধ্যমে কোষের গঠনে পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা ভবিষ্যতে টিউমারে রূপ নিতে পারে। যেমন:
HPV ভাইরাস → সার্ভিকাল ক্যান্সার
হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস → লিভার ক্যান্সার
হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) → পাকস্থলীর টিউমার
(ঙ) হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
শরীরের হরমোনের ভারসাম্য যদি দীর্ঘদিন ধরে ঠিক না থাকে, তবে তা কিছু নির্দিষ্ট ধরণের টিউমার গঠনের কারণ হতে পারে। যেমন: এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা অতিরিক্ত হলে স্তনে ফাইব্রয়েড বা টিউমার দেখা দিতে পারে।
(চ) দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন:
যে কোনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহ থাকলে তা কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এবং কোষ বিভাজনে গোলযোগ এনে টিউমারের সৃষ্টি করতে পারে।
(ছ) দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন:
কিছু স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বা কেমিক্যাল জাতীয় ওষুধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলে শরীরে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে পারে, যা টিউমারে রূপ নিতে পারে।
(জ) অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
অনিয়মিত ঘুম।
অল্প বা বেশি খাওয়া।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাব।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ।
এসব অভ্যাস শরীরে হরমোন ও ইমিউন সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা কোষের স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং দীর্ঘমেয়াদে টিউমার তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।
(ঝ) দূষণ ও পরিবেশগত কারণ:
বায়ু, জল ও খাদ্যে দূষণের কারণে শরীরে টক্সিন জমে যেতে পারে, যা কোষকে দুর্বল করে এবং কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়া বিকৃত করে ফেলে। বিশেষ করে শিল্প এলাকা বা রাসায়নিক কারখানার নিকটে বসবাস করলে ঝুঁকি বেশি থাকে।
টিউমার হলে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা শরীরের কোন অংশে টিউমার হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যেগুলোর দিকে নজর দেওয়া খুব জরুরি:
৩. কোন লক্ষণগুলোর দিকে নজর দেওয়া জরুরি?
টিউমারের সাধারণ লক্ষণ:
(ক) শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক ফোলা বা গাঁট (lump):
বিশেষ করে গলার, বগলের, স্তনের বা তলপেটের অংশে।
(খ) অবিরাম ব্যথা:
এমন ব্যথা যা দীর্ঘদিন ধরে আছে এবং কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই।
(গ) হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া:
না চাইলেও দ্রুত ওজন কমে গেলে সেটা চিন্তার বিষয়।
(ঘ) ক্ষুধামান্দ্য বা খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া:
শরীরের মধ্যে একটা অসস্তি থাকে এবং খিদে পায় না।
(ঙ) নিয়মিত জ্বর বা রাত্রে ঘেমে ওঠা:
বিশেষ করে রাত্রে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
(চ) দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বা দুর্বলতা:
সব সময় শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে এবং দুর্বল লাগে।
(ছ) চামড়ায় পরিবর্তন:
কোনো তিলের রঙ বা দাগের রঙ, আকার বা গঠনে পরিবর্তন দেখা দেয়। ঘা ঘা অবস্থা দেখা যায়, সারছে না সারছে না ভাব লাগে সব সময়।
(জ) বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা:
হজমের সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলে, বিশেষ করে রক্তমিশ্রিত মল।
(ঝ) রক্তপাত:
প্রস্রাব, পায়খানা, কফ বা বমিতে রক্ত; মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত রক্তপাত দেখা দেয়।
(ঞ) শ্বাসকষ্ট, কাশি বা গলার কণ্ঠ ভারি হয়ে যাওয়া:
বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশি থাকলে এটা বেশী দেখা দেয়।
(ট) স্নায়বিক উপসর্গ:
মাথা ঘোরা, চোখে সমস্যা, কথা বলতে কষ্ট, হাত-পা দুর্বল হয়ে পড়া—যদি ব্রেইন টিউমার হয়।